মোঃ রমজান সিকদার, ভাঙ্গা থেকে
ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা পৌর সদরের কৈডুবী নামক স্থানে বুধবার দিবাগত রাত ১টায় যাত্রীবাহী নৈশ কোচ সোনার তরী পরিবহন নিয়ন্ত্রন হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে বাসটির সুপারভ্ইাজার, শিশু, মহিলা সহ ২৫ যাত্রী নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় জনতা, ভাঙ্গা হাই-ওয়ে থানা পুলিশ ও ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ৩ ঘন্টাব্যাপি চেষ্টা চালিয়ে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে। উদ্ধার অভিযান চলাকালীন সময় রাস্তার দুই ধারে শত শত যানবাহন আটকা পরে। নিহতদের সকলের পরিচয় নিশ্চিত করে পরিবারের সদস্যদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। হাই-ওয়ে থানার ওসি হোসেইন সরকার জানান, ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা সোনার তরী পরিবহন (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৭০৭৪) দুর্ঘটনাস্থলে আসলে চালক সামনে থাকা সাকুরা পরিবহনকে ওভারটেক করার সময় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা দেয়। এসময় বাসটির মাঝখান হতে দুইভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। গভীর রাত ও কুয়াশার কারনে বেচে থাকা যাত্রীদের আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা প্রথমে এগিয়ে এসে পুলিশে খবর দেয়। উদ্ধারকারীরা বাসটির ভেতর থেকে ১৯টি মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং গুরুত্বর আহত ২০ জনকে হাসপাতালে পাঠায়। গুরতর আহতদের মধ্যে ভাঙ্গা হাসপাতালে ৩জন ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩ জন মারা যায়। এব্যাপারে ভাঙ্গা হাই-ওয়ে থানার এএসআই মমিন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
হতাহতের এ ঘটনায় রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন। দুর্ঘটনাস্থলে ফরিদপুর-৪ আসনের সাংসদ মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, হাই-ওয়ে পুলিশের ডিআইজি মল্লিক ফকরুল ইসলাম, ঢাকা রেঞ্জের এডিআইজি খন্দকার ফারুক হোসেন,জেলা প্রশাসক সরদার সরাফত আলী, পুলিশ সুপার জামিল হাসান, র্যাব ফরিদপুর ক্যাম্পের অধিনায়ক আমিনুর রহমান পরিদর্শন করেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থার দায়িত্ব নেয়া হয়। নিহত ও আহতদের প্রায় সকলের সকলের বাড়ী বরিশাল,পটুয়াখালী ও বড়গুনা এলাকায়। অপরিদিকে দুর্ঘটনার কারন অনুসন্ধানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) কে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে।
ফরিদপুর, ৯ এপ্রিল, ২০১৫।
ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা পৌর সদরের কৈডুবী নামক স্থানে বুধবার দিবাগত রাত ১টায় যাত্রীবাহী নৈশ কোচ সোনার তরী পরিবহন নিয়ন্ত্রন হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে বাসটির সুপারভ্ইাজার, শিশু, মহিলা সহ ২৫ যাত্রী নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় জনতা, ভাঙ্গা হাই-ওয়ে থানা পুলিশ ও ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ৩ ঘন্টাব্যাপি চেষ্টা চালিয়ে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে। উদ্ধার অভিযান চলাকালীন সময় রাস্তার দুই ধারে শত শত যানবাহন আটকা পরে। নিহতদের সকলের পরিচয় নিশ্চিত করে পরিবারের সদস্যদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। হাই-ওয়ে থানার ওসি হোসেইন সরকার জানান, ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা সোনার তরী পরিবহন (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৭০৭৪) দুর্ঘটনাস্থলে আসলে চালক সামনে থাকা সাকুরা পরিবহনকে ওভারটেক করার সময় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা দেয়। এসময় বাসটির মাঝখান হতে দুইভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। গভীর রাত ও কুয়াশার কারনে বেচে থাকা যাত্রীদের আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা প্রথমে এগিয়ে এসে পুলিশে খবর দেয়। উদ্ধারকারীরা বাসটির ভেতর থেকে ১৯টি মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং গুরুত্বর আহত ২০ জনকে হাসপাতালে পাঠায়। গুরতর আহতদের মধ্যে ভাঙ্গা হাসপাতালে ৩জন ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩ জন মারা যায়। এব্যাপারে ভাঙ্গা হাই-ওয়ে থানার এএসআই মমিন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
হতাহতের এ ঘটনায় রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন। দুর্ঘটনাস্থলে ফরিদপুর-৪ আসনের সাংসদ মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, হাই-ওয়ে পুলিশের ডিআইজি মল্লিক ফকরুল ইসলাম, ঢাকা রেঞ্জের এডিআইজি খন্দকার ফারুক হোসেন,জেলা প্রশাসক সরদার সরাফত আলী, পুলিশ সুপার জামিল হাসান, র্যাব ফরিদপুর ক্যাম্পের অধিনায়ক আমিনুর রহমান পরিদর্শন করেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থার দায়িত্ব নেয়া হয়। নিহত ও আহতদের প্রায় সকলের সকলের বাড়ী বরিশাল,পটুয়াখালী ও বড়গুনা এলাকায়। অপরিদিকে দুর্ঘটনার কারন অনুসন্ধানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) কে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে।
ফরিদপুর, ৯ এপ্রিল, ২০১৫।
No comments:
Post a Comment