ফরিদপুরে জমজ শিশুর একটি পেটে রেখেই অস্ত্রোপচার শেষ করার অভিযোগ - NEWS TODAY FARIDPUR

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

Sunday, February 18, 2018

ফরিদপুরে জমজ শিশুর একটি পেটে রেখেই অস্ত্রোপচার শেষ করার অভিযোগ

ফরিদপুর, ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল হাসপাতাল
নিউজটুডেফরিদপুরঃ
ফরিদপুরে দুটি জমজ শিশু গর্ভে ধারণ করলেও চিকিৎসক অস্ত্রোপচার করে একটি শিশু বের করেন, অপরটি পেটের ভিতরে রেখেইে অস্ত্রোপচার শেষ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তবে এ অভিযোগ ও আলট্রাসনোগ্রাম প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ওই প্রসূতির পেটে আবার অস্ত্রোপচার করা হয়। তবে পেটে কোন শিশু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

শনিবার রাত ৮টার দিকে এবং রবিবার বিকেল ৫টার দিকে একই প্রসূতিকে দুইবার অস্ত্রপচার করার এ ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুর শহরের নিলটুলী এলাকার ডা. জাহিদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালে। দুই দফাই এ অস্ত্রোপচার করেছেন গাইনীর চিকিৎসক রিজিয়া আলম।


ওই প্রসূতির নাম সেলিনা বেগম (৩৮)। সেলিনা বেগম ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের রসুলপুরের গ্রামের সৌদি প্রবাসী আজাদ খলিফার (৪০) স্ত্রী।

সেলিনা বেগমের বড় বোন জাহানারা পারভীন এই প্রতিবেদককে বলেন, শনিবার বিকেলে প্রসব ব্যাথা নিয়ে ফরিদপুর শিশু হাসপাতালে ভর্তি হন সেলিনা। রাত ৮টার দিকে চিকিৎসক অস্ত্রোপচার করে একটি ছেলে বাচ্চা বের করেন। চিকিৎসক একটি বাচ্চা বের করলেও অপর আরেক বাচ্চা পেটের মধ্যে রেখেই অস্ত্রোপচার শেষ করেন।
জাহানারা বলেন, শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ভুমিষ্ট বাচ্চাটি মারা যায়। পাশাপাশি সেলিনাও অসুস্থ্য হতে থাকেন। পেটের ব্যাথা বাড়তে থাকে। রবিবার সকালে চিকিৎসকের পরামর্শ মত ফের আলট্রাসনোগ্রাম করানো হয়। তাতে দেখা যায় আরেকটি বাচ্চা রয়েছে সেলিনার পেটে।
ফরিদপুর, ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল হাসপাতাল


তিনি জানান, প্রথম বাচ্চাটি ৩ টার দিকে বাচ্চার স্বাস কষ্ট  হতে থাকলে নার্সকে ডাকা হয়। নার্স এসে একটা ইনজেকশন দেয়। এর পরেই বাচ্চাটির নাক দিয়ে রক্ত এসে বাচ্চাটি মারা যায়।

তবে রবিবার বিকেল ৫টার দিকে সেলিনার শরীরে দ্বিতীয় দফা অস্ত্রোপচার করেন রিজিয়া আলম। কিন্তু পেট কেটে দ্বিতীয় কোন শিশু পাওয়া যায়নি, দাবী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

ফরিদপুর শিশু হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আক্কাস মন্ডল বলেন, দ্বিতীয় বারের মত অস্ত্রোপচার করে সেলিনার পেটে কোন শিশু পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, প্রথম বারের অস্ত্রোপচারের আগে ও পরে যে দুটি আলট্রাসনোগ্রাম করা হয় তার প্রতিবেদন সঠিক ছিল না। যদিও আলট্রাসনোগ্রামের প্রতিবেদনে কালো জাতীয় কিছুর অস্তিত্ব দেখা গিয়েছিল।

চিকিৎসক রিজিয়া আলম জানান, অস্ত্রোপচার নিয়ে কোন সমস্যা হয়নি। সবই স্বাভাবিক ভাবে হয়েছে।#

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Pages