নিউজটুডেফরিদপুরঃ
ফরিদপুরের নগরকান্দায় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পের (ইজিপিপি) ২য় পর্যায়ের কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। কম শ্রমিক দিয়ে প্রকল্পের কাজ করিয়ে শতভাগ শ্রমিক খাতা-কলমে দেখিয়ে প্রকল্পের কাজ নাম মাত্র বাস্তবায়ন করে অর্থ আত্মসাৎ এর পায়তারা চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, নগরকান্দা উপজেলার পুরাপাড়া ইউনিয়নে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পের (ইজিপিপি) ২য় পর্যায়ের কাজে ৩টি প্রকল্পে ৯ লাখ ৯২ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়ে ১২৪ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছে। একজন শ্রমিক প্রতিদিন কাজ করে পাবেন ২শ’ টাকা, অর্থাৎ মোট ৪০ দিন কাজ করে পারিশ্রমিক পাবেন ৮ হাজার টাকা। এ পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে ১৫ এপ্রিল থেকে।
রোববার (৬ মে) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সরেজমিনে পুরাপাড়া ইউনিয়নের ৩টি প্রকল্প ঘুরে দেখা গেছে, ১২৪ জন শ্রমিক কাজ করার কথা থাকলেও কর্মসৃজন প্রকল্পে কাজ করছে মাত্র ৭৬ জন শ্রমিক। তবে খাতা-কলমে কাজ দেখানো হচ্ছে ১২৪ জন শ্রমিকই কাজ করছে। প্রকল্পের কাজ না করা বাকী ৪৮ জন শ্রমিকের বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করার পায়তারা চলছে বলে জানা গেছে। প্রকল্পের কাজে আসা শ্রমিকেরা জানিয়েছেন, কাজের শুরু থেকেই ৩টি প্রকল্পে ৭৬ জন শ্রমিকই কাজ করছে।
ঘোনাপাড়া গ্রামের হেলাল মাতুব্বরের বাড়ী হতে নতুন বাড়ী হয়ে ঘোনাপাড়া মাদরাসা পর্যন্ত মাটির রাস্তা নির্মাণ কাজ প্রকল্পে ৪ লাখ ৮ হাজার টাকা বরাদ্দে ৫১ জন শ্রমিক নিয়োগ করা থাকলেও কাজ করছে মাত্র ৩২ জন। ইউপি সদস্য (সংরক্ষিত) সম্পা বেগমকে এ প্রকল্পের পিআইসি করা হয়েছে। এ প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিক সিদ্দিক মাতুব্বর ও জালাল সরদারসহ অন্যান্য শ্রমিকরা জানান, শুরু থেকেই ৩২ জন শ্রমিক দিয়েই প্রকল্পের কাজ করা হচ্ছে।
মেহেরদিয়া আসাদ মাতুব্বরের বাড়ী হতে জিলু মাতুব্বরের বাড়ী পর্যন্ত মাটির রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পে ৩ লাখ ৪ হাজার টাকা বরাদ্দে ৩৮ জন শ্রমিক নিয়োগ করা থাকলেও কাজ করছে মাত্র ২২ জন। এ প্রকল্পের কাজে উপস্থিত আছাদ মাতুব্বরসহ অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুরু থেকেই তারা ২২ জন শ্রমিক কাজ করছে। এর আগের (১ম পর্যায়) প্রকল্পেও তারা ২২ জন কাজ করেছিল। ইউপি সদস্য চুন্নু মাতুব্বরকে এ প্রকল্পের পিআইসি করা হয়েছে।
বেতাল বাশারের বাড়ী হতে বেতাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত মাটির রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দে ৩৫ জন শ্রমিক কাজ করার কথা থাকলেও কাজ করছে মাত্র ২২ জন। ইউপি সদস্য সিরাজ মাতুব্বরকে এ প্রকল্পের পিআইসি করা হয়েছে। কাজে উপস্থিত শ্রমিক লাইলী বেগমসহ অন্যান্য শ্রমিকরা ও স্থানীয়রা জানান, শুরু থেকেই এ প্রকল্পে ২২ জন শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে।
কম শ্রমিক দিয়ে প্রকল্পের কাজ করানো হচ্ছে এ অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে পুরাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সোবহান মিয়া বলেন, অফিস ও ব্যাংকসহ বিভিন্ন দপ্তর ম্যানেজ করার জন্য এবং প্রকল্পের পিআইসি ও মেম্বারদের আর্থিক সুবিধা দিতেই কম শ্রমিক দিয়ে প্রকল্পের কাজ করা হচ্ছে।
নগরকান্দা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অতিঃ দাঃ) কাজী মোঃ লিয়াকত হোসেন বলেন, আমি অল্প দিন হলো এই উপজেলায় দায়িত্ব পেয়েছি। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বদরুদ্দোজা শুভ বলেন, প্রকল্পে কোনো অনিয়ম দুর্নীতির প্রমান পাওয়া গেলে, অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। #
ফরিদপুরের নগরকান্দায় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পের (ইজিপিপি) ২য় পর্যায়ের কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। কম শ্রমিক দিয়ে প্রকল্পের কাজ করিয়ে শতভাগ শ্রমিক খাতা-কলমে দেখিয়ে প্রকল্পের কাজ নাম মাত্র বাস্তবায়ন করে অর্থ আত্মসাৎ এর পায়তারা চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, নগরকান্দা উপজেলার পুরাপাড়া ইউনিয়নে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পের (ইজিপিপি) ২য় পর্যায়ের কাজে ৩টি প্রকল্পে ৯ লাখ ৯২ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়ে ১২৪ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছে। একজন শ্রমিক প্রতিদিন কাজ করে পাবেন ২শ’ টাকা, অর্থাৎ মোট ৪০ দিন কাজ করে পারিশ্রমিক পাবেন ৮ হাজার টাকা। এ পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে ১৫ এপ্রিল থেকে।
রোববার (৬ মে) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সরেজমিনে পুরাপাড়া ইউনিয়নের ৩টি প্রকল্প ঘুরে দেখা গেছে, ১২৪ জন শ্রমিক কাজ করার কথা থাকলেও কর্মসৃজন প্রকল্পে কাজ করছে মাত্র ৭৬ জন শ্রমিক। তবে খাতা-কলমে কাজ দেখানো হচ্ছে ১২৪ জন শ্রমিকই কাজ করছে। প্রকল্পের কাজ না করা বাকী ৪৮ জন শ্রমিকের বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করার পায়তারা চলছে বলে জানা গেছে। প্রকল্পের কাজে আসা শ্রমিকেরা জানিয়েছেন, কাজের শুরু থেকেই ৩টি প্রকল্পে ৭৬ জন শ্রমিকই কাজ করছে।
ঘোনাপাড়া গ্রামের হেলাল মাতুব্বরের বাড়ী হতে নতুন বাড়ী হয়ে ঘোনাপাড়া মাদরাসা পর্যন্ত মাটির রাস্তা নির্মাণ কাজ প্রকল্পে ৪ লাখ ৮ হাজার টাকা বরাদ্দে ৫১ জন শ্রমিক নিয়োগ করা থাকলেও কাজ করছে মাত্র ৩২ জন। ইউপি সদস্য (সংরক্ষিত) সম্পা বেগমকে এ প্রকল্পের পিআইসি করা হয়েছে। এ প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিক সিদ্দিক মাতুব্বর ও জালাল সরদারসহ অন্যান্য শ্রমিকরা জানান, শুরু থেকেই ৩২ জন শ্রমিক দিয়েই প্রকল্পের কাজ করা হচ্ছে।
মেহেরদিয়া আসাদ মাতুব্বরের বাড়ী হতে জিলু মাতুব্বরের বাড়ী পর্যন্ত মাটির রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পে ৩ লাখ ৪ হাজার টাকা বরাদ্দে ৩৮ জন শ্রমিক নিয়োগ করা থাকলেও কাজ করছে মাত্র ২২ জন। এ প্রকল্পের কাজে উপস্থিত আছাদ মাতুব্বরসহ অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুরু থেকেই তারা ২২ জন শ্রমিক কাজ করছে। এর আগের (১ম পর্যায়) প্রকল্পেও তারা ২২ জন কাজ করেছিল। ইউপি সদস্য চুন্নু মাতুব্বরকে এ প্রকল্পের পিআইসি করা হয়েছে।
বেতাল বাশারের বাড়ী হতে বেতাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত মাটির রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দে ৩৫ জন শ্রমিক কাজ করার কথা থাকলেও কাজ করছে মাত্র ২২ জন। ইউপি সদস্য সিরাজ মাতুব্বরকে এ প্রকল্পের পিআইসি করা হয়েছে। কাজে উপস্থিত শ্রমিক লাইলী বেগমসহ অন্যান্য শ্রমিকরা ও স্থানীয়রা জানান, শুরু থেকেই এ প্রকল্পে ২২ জন শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে।
কম শ্রমিক দিয়ে প্রকল্পের কাজ করানো হচ্ছে এ অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে পুরাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সোবহান মিয়া বলেন, অফিস ও ব্যাংকসহ বিভিন্ন দপ্তর ম্যানেজ করার জন্য এবং প্রকল্পের পিআইসি ও মেম্বারদের আর্থিক সুবিধা দিতেই কম শ্রমিক দিয়ে প্রকল্পের কাজ করা হচ্ছে।
নগরকান্দা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অতিঃ দাঃ) কাজী মোঃ লিয়াকত হোসেন বলেন, আমি অল্প দিন হলো এই উপজেলায় দায়িত্ব পেয়েছি। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বদরুদ্দোজা শুভ বলেন, প্রকল্পে কোনো অনিয়ম দুর্নীতির প্রমান পাওয়া গেলে, অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। #
No comments:
Post a Comment