নুরল ইসলাম নাহিদ, সালথা প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের সালথা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে সরকারের ৫০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাব-রেজিস্ট্রার ও দলিল লেখক সমিতির যোগ-সাজসে জাল পর্চার জমি রেজিস্ট্রি করে গত ২ বছরে সরকারের এই ৫০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয়। সরকারের রাজস্ব ফাঁকি রোধের প্রতিকার ও জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সম্প্রতি জেলা প্রসাশক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন সালথা এলাকার বাসিন্দা মো. হাসমত।
জেলা প্রসাশককে দেয়া লিখিত ওই অভিযোগ-পত্র থেকে জানা গেছে, এই উপজেলায় ২ বছর আগে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়। শুরু থেকেই সাব-রেজিস্ট্রার ও দলিল লেখক সমিতি যোগ-সাজস করে জাল পর্চার মাধ্যমে উচ্চ মূল্যের জমির শ্রেনী পরিবর্র্তন করে নি¤œ-মূল্যের জমি দেখিয়ে সরকারের ৫০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে। অভিযোগকারী জাল পর্চায় রেজিস্ট্রি হওয়া ২ শতাধিক দলিল চিহ্নিত করে ৫০টি দলিলের নাম্বার উল্লেখ্য করেছেন। রেজিস্ট্রি হওয়া রাজস্ব ফাঁকির আরো দেড় শতাধিক দলিলের প্রমান তার হাতে রয়েছে বলে তিনি অভিযোগে দাবি করেছেন। হাসমত আরো অভিযোগ করেন, দলিল রেজিস্ট্রি ফি জমির শ্রেনী ভেদে বাজার মুল্যের ৫ শতাংশ থেকে সর্বচ্চ ৯ শতাংশ টাকা নেওয়ার সরকারী বিধান থাকলেও এ অফিসে সিন্ডিকেট করে দলিল রেজিস্ট্রি ফি ১৪ শতাংশ নেওয়ায় জমি ক্রেতা বিক্রেতারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
এব্যাপারে হয়রানির শিকার জমির ক্রেতা ফুলবাড়িয়া উচ্চ-বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মাদ আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সালথায় ৩ বিঘা জমি কিনলে রেজিস্ট্রিশনের জন্য ১ বিঘা জমির টাকা হাতে রাখতে হয়। যা জমির ক্রেতার জন্য মরার উপর খাড়ার ঘা। এ সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
সালথা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আজমুল হক বলেন, এটা কোন সিন্ডিকেট নয়। দলিল লেখক সমিতির স্বার্থ রক্ষার সংগঠন। এখানে শুরুতে কিছটা অনিয়ম হয়েছে। যা সমিতির নজরে আসার পরে দলিল লেখকদের অনিয়ম থেকে বিরত থাকতে কঠোরভাবে বলা হয়েছে।
উপজেলার নব-নিযুক্ত সাব-রেজিস্ট্রার মো. ইউসুফ শরীফ বলেন, এ অফিসে আগে কি হয়েছে তা আমি জানি না। আমি এখানে যোগদান করার পর কোন অনিয়ম আমার নজরে আসেনি। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও এই কর্মকর্তা জানান। #
নিউজ টুডে ফরিদপুর, ৩১ মে, ২০১৫।
No comments:
Post a Comment