এ.এস.কাজল, চরভদ্রাসন থেকেঃ
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় প্রায় ২ শতাধীক পরিবারের মূল আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে দোয়ারী( বাশেঁর তৈরী মাছ ধরার এক ধরনের ফাদ, যা স্থানীয়ভাবে দোয়ারী নামে পরিচিত) শিল্প। অল্প পূঁজি ও হাতের কারিগরির মাধ্যমে এই পেশায় আয়ও ভালই। উপজেলার বেশীর ভাগ মানুষই বছরের এই সময়টাতে ব্যস্ত হয়ে পরেন দোয়ারী তৈরীতে। এ কাজে পুরুষদের পাশাপাশি সমান তালে কাজ করেন বাড়ির মহিলারাও।
এক সময় উপজেলার গাজিরটেক ইউনিয়নের দুয়ারী পট্টি (বাঞ্ছারাম বিশ্বাসের ডাঙ্গী) নামক গ্রামে এ শিল্পের কেন্দ্র থাকলেও বর্তমানে এ শিল্পের প্রসার ঘটেছে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। বড় একটি বাশঁ দিয়ে ৬০ টি চাঁইয়া দোয়ারী(ছোট আকারের) তৈরী করা যায় এবং প্রায় ২৫০০ টাকা বিক্রী হয়। একজন লোক প্রতিদিন ৮টি ছোট মাপের দোয়ারী তৈরী করতে পারে। বিভিন্ন ধরনের দোয়রীর মাঝে চাঁইয়া,তালাই ও বাধের দোয়ারীর চাহিদা বেশী। সাধারনত বর্ষা আসার আগের সময়টাতে এই ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠে। তবে উপজেলার হাজিগঞ্জ বাজারে সারা বছরই দোয়ারী বিক্রী হয়। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন বরিশাল, ঢাকা, সিরাজগঞ্জ,পাবনা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাইকাররা এই চরভদ্রাসনে এসে দোয়ারী কিনে নিয়ে যায়।
দোয়ারী’র কারিগর মোশাররফ হোসেন(৪৫)ও ফজলুর রহমান(৪০) জানিয়েছেন, গত দুই তিন বছর যাবত একশ্রেনীর লোক প্লাস্টিকের তৈরী এক ধরনের ফাদ দিয়ে চিংড়ী মাছ ধরার ফলে তাদের ব্যবসায় বিরুপ প্রভাব ফেলেছে। এছাড়া প্লস্টিকের ফাদ দিয়ে মাছ ধরলে চিংড়ী মাছের ডিম নষ্ট হয়ে যায় যা পরিবেশ ও মৎস সম্পদের জন্য হুমকি। এব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। আধুনিকতার নামে যেন শত বছরের ঐহিহ্য আর অসংখ্য পরিবারের আয়ের উৎস যেন বন্ধ না হয়ে যায় সেই প্রত্যাশাই করেন চরভদ্রাসনের মানুষ। #
নিউজ টুডে ফরিদপুর, ৮ জুন, ২০১৫।
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় প্রায় ২ শতাধীক পরিবারের মূল আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে দোয়ারী( বাশেঁর তৈরী মাছ ধরার এক ধরনের ফাদ, যা স্থানীয়ভাবে দোয়ারী নামে পরিচিত) শিল্প। অল্প পূঁজি ও হাতের কারিগরির মাধ্যমে এই পেশায় আয়ও ভালই। উপজেলার বেশীর ভাগ মানুষই বছরের এই সময়টাতে ব্যস্ত হয়ে পরেন দোয়ারী তৈরীতে। এ কাজে পুরুষদের পাশাপাশি সমান তালে কাজ করেন বাড়ির মহিলারাও।
এক সময় উপজেলার গাজিরটেক ইউনিয়নের দুয়ারী পট্টি (বাঞ্ছারাম বিশ্বাসের ডাঙ্গী) নামক গ্রামে এ শিল্পের কেন্দ্র থাকলেও বর্তমানে এ শিল্পের প্রসার ঘটেছে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। বড় একটি বাশঁ দিয়ে ৬০ টি চাঁইয়া দোয়ারী(ছোট আকারের) তৈরী করা যায় এবং প্রায় ২৫০০ টাকা বিক্রী হয়। একজন লোক প্রতিদিন ৮টি ছোট মাপের দোয়ারী তৈরী করতে পারে। বিভিন্ন ধরনের দোয়রীর মাঝে চাঁইয়া,তালাই ও বাধের দোয়ারীর চাহিদা বেশী। সাধারনত বর্ষা আসার আগের সময়টাতে এই ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠে। তবে উপজেলার হাজিগঞ্জ বাজারে সারা বছরই দোয়ারী বিক্রী হয়। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন বরিশাল, ঢাকা, সিরাজগঞ্জ,পাবনা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাইকাররা এই চরভদ্রাসনে এসে দোয়ারী কিনে নিয়ে যায়।
দোয়ারী’র কারিগর মোশাররফ হোসেন(৪৫)ও ফজলুর রহমান(৪০) জানিয়েছেন, গত দুই তিন বছর যাবত একশ্রেনীর লোক প্লাস্টিকের তৈরী এক ধরনের ফাদ দিয়ে চিংড়ী মাছ ধরার ফলে তাদের ব্যবসায় বিরুপ প্রভাব ফেলেছে। এছাড়া প্লস্টিকের ফাদ দিয়ে মাছ ধরলে চিংড়ী মাছের ডিম নষ্ট হয়ে যায় যা পরিবেশ ও মৎস সম্পদের জন্য হুমকি। এব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। আধুনিকতার নামে যেন শত বছরের ঐহিহ্য আর অসংখ্য পরিবারের আয়ের উৎস যেন বন্ধ না হয়ে যায় সেই প্রত্যাশাই করেন চরভদ্রাসনের মানুষ। #
নিউজ টুডে ফরিদপুর, ৮ জুন, ২০১৫।
No comments:
Post a Comment