নিউজ টুডে ফরিদপুর, ৬ অগাষ্ট, ২০১৫ ঃ
প্রতিনিয়ত ফসলে উৎপাদন খরচ তুলতে ব্যর্থ হওয়ায় হুমকীর মুখে পড়ছে কৃষকের স্বার্থ। তাই কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় মাঠে মাঠে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে বিশেষজ্ঞরা। বৃহস্পতিবার ফরিদপুরের সদর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের আকুইন গ্রামের কৃষকদের অংশগ্রহনে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা লাগানো শীর্ষক মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় কৃষি বিশেষজ্ঞ ও কর্মকর্তারা এ পরামর্শ প্রদান করেন।
ওই এলাকার ৮০ কৃষান কৃষানির অংশগ্রহনে আলোচনা সভায় সিসা- ইরি, ফরিদপুর হাব এর সিনিয়র স্পেশালিস্ট ড. পরিমল চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জিএম আব্দুর রউফ।
ইউএসএআইডি’র আর্থিক সহায়তায় সিসা-ইরি ফরিদপুর হাব এর উদ্যোগে এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ফরিদপুর ও সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি (এসডিসি) এর সহযোগীতায় অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা গোপাল কৃষ্ণ দাস ও কৃষি প্রকৌশলী মোঃ মাসুদ রানা।
এসময় সিসা-ইরির কৃষি গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল জলিল, সিসা-ইরির কৃষি গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকর্তা দিল আফরোজ তিথি, সিসা-ইরি-এসডিসির প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর জনাব মোঃ হাবিবুর রহমান খানসহ এসডিসির মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা বৃন্দ এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত কৃষান-কৃষানীদের আলোচনার মাধ্যমে সুবিধাবলী সম্পর্কে জানানোর পর মাঠে স্বচক্ষে তাদের রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধান রোপর প্রদর্শন করানো হয়।
বক্তারা শ্রম ও সময় সাশ্রয়ী শক্তি চালিত রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে আমন ধানের চারা লাগানোর উপর বিস্তারিত বিবরন তুলে ধরেন। উপস্থিত কৃষকগণের বিভিন্ন প্রশ্নের বিশেষ করে যন্ত্রটির ক্রয়মূল্য, খুচরা যন্ত্রাংশসহ এর প্রাপ্যতা ইত্যাদির উত্তর দেন তাঁরা। উপন্থিত কৃষকগণ শ্রম ও সময় সাশ্রয়ী শক্তি চালিত রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের ব্যবহার, সুবিধা-অসুবিধা, খরচ ইত্যাদি সম্বন্ধে সম্যক ধারনা লাভ করেন। তাঁরা প্রচলিত হাত দ্বারা ধানের চারা লাগানোর সাথে এই শক্তি চালিত যন্ত্রের মাধ্যমে লাগানোর তুলনা করে দেখেন এবং যন্ত্রের দ্বারা ধানের চারা লাগানো সরাসরি দেখেন।
ড. পরিমল চন্দ্র সরকার জানান, একটি রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে দিনে ছয় ঘন্টা পরিশ্রম করে একজন চাষী ছয় একর জমিতে চারা রোপন করতে পারেন। পক্ষান্তরে একই পরিমান জমি শ্রমিকের মাধ্যমে একদিনে রোপন করতে হলে ৯০জন শ্রমিক নিয়োগের প্রয়োজন হয়। তিনি আরো জানান, প্রতি একর জমির ধানের চারা রোপনে প্রচলিত পদ্ধতিতে চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা খরচ হয়। অপরদিকে ওই যন্ত্র দিয়ে ধানের চারা রোপনে মাত্র ৮শ থেকে এক হাজার টাকা খরচ হয়। এতে কৃষকের ধানের উৎপাদন খরচ অনেকাংশে কমে যাবে বলে দাবী করেন তিনি। #
নিউজ টুডে ফরিদপুর, ৬ অগাষ্ট, ২০১৫।
প্রতিনিয়ত ফসলে উৎপাদন খরচ তুলতে ব্যর্থ হওয়ায় হুমকীর মুখে পড়ছে কৃষকের স্বার্থ। তাই কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় মাঠে মাঠে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে বিশেষজ্ঞরা। বৃহস্পতিবার ফরিদপুরের সদর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের আকুইন গ্রামের কৃষকদের অংশগ্রহনে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা লাগানো শীর্ষক মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় কৃষি বিশেষজ্ঞ ও কর্মকর্তারা এ পরামর্শ প্রদান করেন।
ওই এলাকার ৮০ কৃষান কৃষানির অংশগ্রহনে আলোচনা সভায় সিসা- ইরি, ফরিদপুর হাব এর সিনিয়র স্পেশালিস্ট ড. পরিমল চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জিএম আব্দুর রউফ।
ইউএসএআইডি’র আর্থিক সহায়তায় সিসা-ইরি ফরিদপুর হাব এর উদ্যোগে এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ফরিদপুর ও সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি (এসডিসি) এর সহযোগীতায় অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা গোপাল কৃষ্ণ দাস ও কৃষি প্রকৌশলী মোঃ মাসুদ রানা।
এসময় সিসা-ইরির কৃষি গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল জলিল, সিসা-ইরির কৃষি গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকর্তা দিল আফরোজ তিথি, সিসা-ইরি-এসডিসির প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর জনাব মোঃ হাবিবুর রহমান খানসহ এসডিসির মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা বৃন্দ এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত কৃষান-কৃষানীদের আলোচনার মাধ্যমে সুবিধাবলী সম্পর্কে জানানোর পর মাঠে স্বচক্ষে তাদের রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধান রোপর প্রদর্শন করানো হয়।
বক্তারা শ্রম ও সময় সাশ্রয়ী শক্তি চালিত রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে আমন ধানের চারা লাগানোর উপর বিস্তারিত বিবরন তুলে ধরেন। উপস্থিত কৃষকগণের বিভিন্ন প্রশ্নের বিশেষ করে যন্ত্রটির ক্রয়মূল্য, খুচরা যন্ত্রাংশসহ এর প্রাপ্যতা ইত্যাদির উত্তর দেন তাঁরা। উপন্থিত কৃষকগণ শ্রম ও সময় সাশ্রয়ী শক্তি চালিত রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের ব্যবহার, সুবিধা-অসুবিধা, খরচ ইত্যাদি সম্বন্ধে সম্যক ধারনা লাভ করেন। তাঁরা প্রচলিত হাত দ্বারা ধানের চারা লাগানোর সাথে এই শক্তি চালিত যন্ত্রের মাধ্যমে লাগানোর তুলনা করে দেখেন এবং যন্ত্রের দ্বারা ধানের চারা লাগানো সরাসরি দেখেন।
ড. পরিমল চন্দ্র সরকার জানান, একটি রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে দিনে ছয় ঘন্টা পরিশ্রম করে একজন চাষী ছয় একর জমিতে চারা রোপন করতে পারেন। পক্ষান্তরে একই পরিমান জমি শ্রমিকের মাধ্যমে একদিনে রোপন করতে হলে ৯০জন শ্রমিক নিয়োগের প্রয়োজন হয়। তিনি আরো জানান, প্রতি একর জমির ধানের চারা রোপনে প্রচলিত পদ্ধতিতে চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা খরচ হয়। অপরদিকে ওই যন্ত্র দিয়ে ধানের চারা রোপনে মাত্র ৮শ থেকে এক হাজার টাকা খরচ হয়। এতে কৃষকের ধানের উৎপাদন খরচ অনেকাংশে কমে যাবে বলে দাবী করেন তিনি। #
নিউজ টুডে ফরিদপুর, ৬ অগাষ্ট, ২০১৫।
No comments:
Post a Comment