শারীরিক প্রতিবন্ধকতা রুখতে পারেনি দশম শ্রেণির ছাত্রী সাবিনাকে - NEWS TODAY FARIDPUR

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

Sunday, October 18, 2015

শারীরিক প্রতিবন্ধকতা রুখতে পারেনি দশম শ্রেণির ছাত্রী সাবিনাকে

নুরুল ইসলাম, সালথা থেকেঃ
শারীরিক প্রতিবন্ধকতা রুখতে পারেনি দশম শ্রেণীর ছাত্রী সাবিনা খানমকে। শারীরিক ও আর্থিক প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে শিক্ষার্জনের জন্য নিজ ইচ্ছাশক্তি দিয়ে নিজের সাথে নিজেই লড়ছেন তিনি। জন্মই তার ভূমিহীন প্রতিবন্ধী বাবার ঘরে। সাবিনার পরিবারের সদস্য পাঁচজন। পাঁচ সদস্যের এই পরিবারের মধ্যে তিন জনই শারীরিক প্রতিবন্ধী। সাবিনা খানম ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ফুলবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ও বল্লভদী ইউনিয়নের বিষ্ণুদী গ্রামের অনিয়মিত দিনমজুর মো. রব শেখের বড় মেয়ে। মা আলেয়া বেগম গৃহিনী। ছোটবোন বিথী খানমও বেড়ে উঠছে শারীরিক প্রতিন্ধকতা নিয়ে।
সাবিনার বাবা মো. রব শেখ জানান, সে নিজেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। নিজ বাড়ীর ৫ শতাংশ জমি ছাড়া তার আর কোন জমি নেই। তিন ছেলে আর ২ মেয়ে তার। বড় ছেলে বিয়ে করেছে। মেঝো ছেলে মাদরাসায় লেখাপড়া করে। ছোট ছেলের লেখাপড়ার বয়স হয়নি। ২ মেয়েই জন্মগতভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী। বড় মেয়ের ২টি পা’ই বাঁকা। সে স্বাভাবিকভাবে হাটতে পারে না। বাড়ী থেকে স্কুলে হেটে আসতে তার খুবই কষ্ট হয়। বিষ্ণুদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী ছোট মেয়ে বিথী খানম। বয়সের তুলনায় সে বেড়ে উঠছে না। নিজে পরিপুর্ণ কাজ করতে না পারায় দিন মজুর হিসেবে তার চাহিদাও কম।
প্রতিবন্ধী সাবিনা খানম বলেন, প্রতিবন্ধী পরিবারেই আমার জন্ম। এরপর পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। বাবার আয়রোজগার নেই বললেই চলে। এমন অবস্থায় সংসার চালাতে বাবার হিমশিম খেতে হচ্ছে। লেখাপড়ার জন্য ২ কিলোমিটার পথ হেটে স্কুলে আসা আমার জন্য খুবই কষ্টকর। বাবার মুখের দিক তাকিয়ে সেটা আমাকে মেনে নিতে হয়। শুধুমাত্র ইচ্ছাশক্তি দিয়েই আমি লেখাপড়া করছি।
ফুলবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী বলেন, হতদরিদ্র পরিবারের শারীরিক প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রী সাবিনা খানমের দু’টি পাই বাঁকা। এতে সে স্বাভাবিকভাবে হাটতে পারে না। তার যাতায়াতের জন্য প্রয়োজন একটি হুইল চেয়ারের। এতো প্রতিকূলতা থাকা সত্বেও লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ রয়েছে তার। #
নিউজ টুডে ফরিদপুর, ১৮ অক্টোবর।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Pages