নিউজটুডেফরিদপুরঃ
ফরিদপুরে প্রতিবন্ধী শিশুদের সাথে ভালবাসা দিবস পালন করলো একদল স্বেচ্ছাসেবী তরুনের সংগঠন ‘আমরা করবো জয়’। বুধবার শহরের হাইকেয়ার স্কুলে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, কেক কাটা, পুরস্কার বিতরন, ফুলের শুভেচ্ছা ও খাওয়া দাওয়ার মধ্য দিয়ে এই আয়োজন করা হয়। তরুনদের এই আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলা বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। তরুনদের এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল।
সকাল সাড়ে ১০ টায় স্কুল প্রাঙ্গনে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। পরে সকল শিশুদের ফুল দিয়ে ভালবাসা দিবসের শুভেচ্ছা জানানো হয়। এর পরে শিশুদের নিয়ে কেক কাটেন অতিথি ও আয়োজকবৃন্দ। কেক কাটা শেষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি। শেষে শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করে আয়োজকরা।
আয়োজক সংগঠন ‘আমরা করবো জয়’ এর সভাপতি আহমেদ সৌরভ জানান, বর্তমান সময় টা যেন কেমন হয়ে গেছে। একটা শ্রেনী মনে করে, ভালবাসা দিবস মানেই তরুন তরুনীদের মাঝে ভাব বিনিময়, ঘোড়া ফেরা , আনন্দ হৈ হুল্লড় এই সব। বুঝায়। কিন্তু আসলেই কি ভালবাসা তাই। ভালবাসা তো পরিবার, সমাজ, দেশের জন্যও।
এই তরুন স্বেচ্চাসেবী দলনেতা বলেন, আসলেই কি ভালবাসার কোন দিন ক্ষন আছে, মনে হয় না। তারপর যদি থেকেই তাকে তাহলে আমার মনে হয় সেটা সমাজের পিছিয়ে পরা জনগোষ্টির জন্য সেই ভালবাসা দিবস।
তাই আমরা প্রতিবছরই ভালবাসা দিবসটি সমাজের পিছিয়ে পড়া একটি গোষ্টির সাথে পালন করি। গতবছর পথ শিশুদের সাথে এই আয়োজন করা হয়েছিল। এবছর মুক ও বধির শিশুদের সাথে এই আয়োজন করছি। তরুনদের ভালবাসা দিবসের মর্মার্থ বুঝাতেও আমাদের এই প্রচেষ্ট।
তরুনদের এই আয়োজনে প্রতিবন্ধি শিশুরা যেমন খুশি তেমন খুশি তাদের অভিভাবকরা। শ্রাবনী নিঝুম নামে এক অভিভাবক জানালেন, আমার বাচ্চারা অনেক খুশি। তিনি আয়োজক ও স্কুল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই তরুনদের যেখানে আজকে ঘুড়ে ফিরে কাটানো কথা সেখানে এই প্রতিবন্ধিদের সাথে তারা সময় কাটাচ্ছে, এটা সত্যিই আনন্দের।
হাইকেয়ার স্কুলের শিক্ষক ইসমত আরা পারভীন জানান, স্যালুট জানাতে হয় এই তরুনদের। আজকের দিনটাতে বাবা মায়েরাও সঙ্কিত থাকেন তাদের সন্তান কোথাও গিয়ে অন্যায় কিছু করছে না তো। এই তরুনরা দেশের জন্য মডেল হতে পারে।
সাংবাদিক পান্না বালা বলেন, ‘নিসন্দেহে একটি ভাল উদ্যোগ। আজকের দিনে যেখানে তরুন তরুনীরা লাগামহীন ঘোড়াফেরার কথা, সেখানে এই তরুনদের প্রতিবন্ধিদের সাথে সময় কাটানো, তাদের খাওয়ানো এটা নিসন্দেহে অনুকরনীয় হয়ে পারে দেশের যুব সমাজের জন্য। আর সেটা হলেই এগিয়ে যাবে এই সমাজ, এই দেশ। আর তাতে দেশের পিছিয়ে পড়া নাগরিকদের এগিয়ে নিয়ে আসতে বড় ভুমিকা পালন করবে। আমি চাই এদের দেখে দেশের অন্য তরুনরাও এগিয়ে আসুক।’
ভালবাসা কারো একজনের জন্য না হয়ে ছড়িয়ে পরুক, পরিবার, সমাজ, দেশ সর্বোপরি বিশ্ববাসীর জন্য, এই তরুনদের আয়োজন ভালবাসা দিবসের মর্মার্থ চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দেয়। এই প্রচেষ্ট সবার মাঝে ছড়িয়ে পরুক, সেমনটাই প্রত্যাশা এই আয়োজনের আয়োজকসহ উপস্থিত সকলের। #
ফরিদপুরে প্রতিবন্ধী শিশুদের সাথে ভালবাসা দিবস পালন করলো একদল স্বেচ্ছাসেবী তরুনের সংগঠন ‘আমরা করবো জয়’। বুধবার শহরের হাইকেয়ার স্কুলে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, কেক কাটা, পুরস্কার বিতরন, ফুলের শুভেচ্ছা ও খাওয়া দাওয়ার মধ্য দিয়ে এই আয়োজন করা হয়। তরুনদের এই আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলা বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। তরুনদের এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল।
সকাল সাড়ে ১০ টায় স্কুল প্রাঙ্গনে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। পরে সকল শিশুদের ফুল দিয়ে ভালবাসা দিবসের শুভেচ্ছা জানানো হয়। এর পরে শিশুদের নিয়ে কেক কাটেন অতিথি ও আয়োজকবৃন্দ। কেক কাটা শেষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি। শেষে শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করে আয়োজকরা।
আয়োজক সংগঠন ‘আমরা করবো জয়’ এর সভাপতি আহমেদ সৌরভ জানান, বর্তমান সময় টা যেন কেমন হয়ে গেছে। একটা শ্রেনী মনে করে, ভালবাসা দিবস মানেই তরুন তরুনীদের মাঝে ভাব বিনিময়, ঘোড়া ফেরা , আনন্দ হৈ হুল্লড় এই সব। বুঝায়। কিন্তু আসলেই কি ভালবাসা তাই। ভালবাসা তো পরিবার, সমাজ, দেশের জন্যও।
এই তরুন স্বেচ্চাসেবী দলনেতা বলেন, আসলেই কি ভালবাসার কোন দিন ক্ষন আছে, মনে হয় না। তারপর যদি থেকেই তাকে তাহলে আমার মনে হয় সেটা সমাজের পিছিয়ে পরা জনগোষ্টির জন্য সেই ভালবাসা দিবস।
তাই আমরা প্রতিবছরই ভালবাসা দিবসটি সমাজের পিছিয়ে পড়া একটি গোষ্টির সাথে পালন করি। গতবছর পথ শিশুদের সাথে এই আয়োজন করা হয়েছিল। এবছর মুক ও বধির শিশুদের সাথে এই আয়োজন করছি। তরুনদের ভালবাসা দিবসের মর্মার্থ বুঝাতেও আমাদের এই প্রচেষ্ট।
তরুনদের এই আয়োজনে প্রতিবন্ধি শিশুরা যেমন খুশি তেমন খুশি তাদের অভিভাবকরা। শ্রাবনী নিঝুম নামে এক অভিভাবক জানালেন, আমার বাচ্চারা অনেক খুশি। তিনি আয়োজক ও স্কুল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই তরুনদের যেখানে আজকে ঘুড়ে ফিরে কাটানো কথা সেখানে এই প্রতিবন্ধিদের সাথে তারা সময় কাটাচ্ছে, এটা সত্যিই আনন্দের।
হাইকেয়ার স্কুলের শিক্ষক ইসমত আরা পারভীন জানান, স্যালুট জানাতে হয় এই তরুনদের। আজকের দিনটাতে বাবা মায়েরাও সঙ্কিত থাকেন তাদের সন্তান কোথাও গিয়ে অন্যায় কিছু করছে না তো। এই তরুনরা দেশের জন্য মডেল হতে পারে।
সাংবাদিক পান্না বালা বলেন, ‘নিসন্দেহে একটি ভাল উদ্যোগ। আজকের দিনে যেখানে তরুন তরুনীরা লাগামহীন ঘোড়াফেরার কথা, সেখানে এই তরুনদের প্রতিবন্ধিদের সাথে সময় কাটানো, তাদের খাওয়ানো এটা নিসন্দেহে অনুকরনীয় হয়ে পারে দেশের যুব সমাজের জন্য। আর সেটা হলেই এগিয়ে যাবে এই সমাজ, এই দেশ। আর তাতে দেশের পিছিয়ে পড়া নাগরিকদের এগিয়ে নিয়ে আসতে বড় ভুমিকা পালন করবে। আমি চাই এদের দেখে দেশের অন্য তরুনরাও এগিয়ে আসুক।’
ভালবাসা কারো একজনের জন্য না হয়ে ছড়িয়ে পরুক, পরিবার, সমাজ, দেশ সর্বোপরি বিশ্ববাসীর জন্য, এই তরুনদের আয়োজন ভালবাসা দিবসের মর্মার্থ চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দেয়। এই প্রচেষ্ট সবার মাঝে ছড়িয়ে পরুক, সেমনটাই প্রত্যাশা এই আয়োজনের আয়োজকসহ উপস্থিত সকলের। #
No comments:
Post a Comment