নিউজ টুডে ফরিদপুর, ১৬ এপ্রিল:
প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এপিএস সত্যজিৎ মুখার্জীকে চাকরিচ্যুত করা এবং জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোকাররম মিয়া বাবুকে অবিলম্বে দলীয় পদ থেকে অপসারণ ও গ্রেপ্তারের দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ করেছে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের থানা রোডে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে এক সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগ নেতা ও কৈজুরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইখতিয়ার মোহাম্মদ ইকু, মাইনউদ্দিন আহমেদ মানু, কে এম সেলিম, শামসুল আলম চৌধুরী, সাহেব সরোয়ার, খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভী, সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও সায়েদুল আলম তপন প্রমুখ।
ওই দুই নেতাকে দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে বক্তারা বলেন, মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তারা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এমনকি তারা জেলার সরকারি বিভিন্ন নিয়োগ ও টেন্ডারবাজি করে বিত্তশালী হয়েছেন।
দলটির নেতাকর্মীরা এই দুই দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে নানা ধরনের শ্লোগান দেয়। তারা দলের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য অবিলম্বে তাদের আইনের হাতে সোপর্দ করারও জোর দাবি জানায়।
তাদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানিয়ে নেতারা বলেন, অবিলম্বে মোকাররম মিয়া বাবু ও সত্যজিৎ মুখার্জীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
নতুন বাংলা বছরের শুরুতেই ফরিদপুরের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক মহলের এই পরিবর্তন ফরিদপুরে এখন ‘টক অব দা টাউনে’ পরিণত হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৩ এপ্রিল বিকালে ফরিদপুরের শহরতলীর বদরপুরের প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রীর বাড়িতে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের কয়েকজন নেতার উপস্থিতিতে মন্ত্রী ওই দুই নেতাকে তার আশপাশে না থাকার নির্দেশনা দেন।
সে সময় মন্ত্রীর বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কেএম সেলিম, সাহেব সারোয়ার, শওকত আলী জাহিদ, যুবলীগ নেতা নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, এএইচএম ফোয়াদ, জাহিদ বেপারী, সাজ্জাদ হোসেন বরকত, স্বেচ্ছাসেবক লীগের অনিমেষ রায়, শ্রমিক লীগের আক্কাস হোসেন, শহীদ মোল্লা ও কোতোয়ালি আওয়ামী লীগের সামসুল আলম চৌধুরী। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন উপস্থিত একাধীক নেতা।
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী জানান, বিষয়টি সত্য। তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার দাপটসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠলে মন্ত্রী বিষয়টি বুঝে তাদের সরিয়ে দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এই সিদ্ধান্ত দলে ও তার (মন্ত্রীর) জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।
এদিকে এপিএস সত্যজিৎ মুখার্জীকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তার স্থলে সাবেক পিও ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এএইচএম ফোয়াদকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এইচ এম ফোয়াদ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তিনি মন্ত্রণালয় থেকে এপিএস পদের নিয়োগপত্র পেয়েছেন। তিনি বলেন, এপিএস থাকাকালে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে সত্যজিৎ মুখার্জীকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মোকাররম মিয়া বাবু জানান, মন্ত্রী মহোদয় যেটা ভালো মনে করেছেন সেটাই করেছেন। তিনি আমাকে যেমন ভালোও বাসতে পারেন, আবার শাসনও করতে পারেন। দুটিই তার জন্য আশীর্বাদ মন্তব্য করে বাবু বলেন, গোপন ওই ভিডিও ক্লিপে আমার বক্তব্য অসম্পূর্ণ ও খন্ডিতভাবে উপস্থাপন করে আমাকে মন্ত্রীর কাছ থেকে দূরে সরানোর চেষ্টা করছে একটি চক্র।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন ফরিদপুরের আওয়ামী রাজনীতির অভিভাবক। তিনি যাকে ভালো মনে হয় তাকে কাছে রাখবেন, যাকে ভালো মনে করবেন না তাকে দুরে ঠেলে দেবেন। তিনি অত্যন্ত বিচক্ষণ, তাই সঙ্গত কারণেই ওই দুই নেতাকে তার বলয় থেকে তিনি মাইনাস করেছেন বলে আমি বিশ্বাস করি। #
ফরিদপুর, ১৬ এপ্রিল, ২০১৫।
প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এপিএস সত্যজিৎ মুখার্জীকে চাকরিচ্যুত করা এবং জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোকাররম মিয়া বাবুকে অবিলম্বে দলীয় পদ থেকে অপসারণ ও গ্রেপ্তারের দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ করেছে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের থানা রোডে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে এক সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগ নেতা ও কৈজুরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইখতিয়ার মোহাম্মদ ইকু, মাইনউদ্দিন আহমেদ মানু, কে এম সেলিম, শামসুল আলম চৌধুরী, সাহেব সরোয়ার, খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভী, সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও সায়েদুল আলম তপন প্রমুখ।
ওই দুই নেতাকে দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে বক্তারা বলেন, মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তারা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এমনকি তারা জেলার সরকারি বিভিন্ন নিয়োগ ও টেন্ডারবাজি করে বিত্তশালী হয়েছেন।
দলটির নেতাকর্মীরা এই দুই দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে নানা ধরনের শ্লোগান দেয়। তারা দলের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য অবিলম্বে তাদের আইনের হাতে সোপর্দ করারও জোর দাবি জানায়।
তাদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানিয়ে নেতারা বলেন, অবিলম্বে মোকাররম মিয়া বাবু ও সত্যজিৎ মুখার্জীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
নতুন বাংলা বছরের শুরুতেই ফরিদপুরের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক মহলের এই পরিবর্তন ফরিদপুরে এখন ‘টক অব দা টাউনে’ পরিণত হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৩ এপ্রিল বিকালে ফরিদপুরের শহরতলীর বদরপুরের প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রীর বাড়িতে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের কয়েকজন নেতার উপস্থিতিতে মন্ত্রী ওই দুই নেতাকে তার আশপাশে না থাকার নির্দেশনা দেন।
সে সময় মন্ত্রীর বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কেএম সেলিম, সাহেব সারোয়ার, শওকত আলী জাহিদ, যুবলীগ নেতা নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, এএইচএম ফোয়াদ, জাহিদ বেপারী, সাজ্জাদ হোসেন বরকত, স্বেচ্ছাসেবক লীগের অনিমেষ রায়, শ্রমিক লীগের আক্কাস হোসেন, শহীদ মোল্লা ও কোতোয়ালি আওয়ামী লীগের সামসুল আলম চৌধুরী। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন উপস্থিত একাধীক নেতা।
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী জানান, বিষয়টি সত্য। তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার দাপটসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠলে মন্ত্রী বিষয়টি বুঝে তাদের সরিয়ে দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এই সিদ্ধান্ত দলে ও তার (মন্ত্রীর) জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।
এদিকে এপিএস সত্যজিৎ মুখার্জীকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তার স্থলে সাবেক পিও ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এএইচএম ফোয়াদকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এইচ এম ফোয়াদ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তিনি মন্ত্রণালয় থেকে এপিএস পদের নিয়োগপত্র পেয়েছেন। তিনি বলেন, এপিএস থাকাকালে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে সত্যজিৎ মুখার্জীকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মোকাররম মিয়া বাবু জানান, মন্ত্রী মহোদয় যেটা ভালো মনে করেছেন সেটাই করেছেন। তিনি আমাকে যেমন ভালোও বাসতে পারেন, আবার শাসনও করতে পারেন। দুটিই তার জন্য আশীর্বাদ মন্তব্য করে বাবু বলেন, গোপন ওই ভিডিও ক্লিপে আমার বক্তব্য অসম্পূর্ণ ও খন্ডিতভাবে উপস্থাপন করে আমাকে মন্ত্রীর কাছ থেকে দূরে সরানোর চেষ্টা করছে একটি চক্র।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন ফরিদপুরের আওয়ামী রাজনীতির অভিভাবক। তিনি যাকে ভালো মনে হয় তাকে কাছে রাখবেন, যাকে ভালো মনে করবেন না তাকে দুরে ঠেলে দেবেন। তিনি অত্যন্ত বিচক্ষণ, তাই সঙ্গত কারণেই ওই দুই নেতাকে তার বলয় থেকে তিনি মাইনাস করেছেন বলে আমি বিশ্বাস করি। #
ফরিদপুর, ১৬ এপ্রিল, ২০১৫।
No comments:
Post a Comment