সালথার প্রতিটি গ্রামে এখনো কাঠালের এমন চিত্র চোখে পরবে। কিন্তু বাজারে দাম না থাকায় কৃষক কাঠাল গাছ থেকে কাটার সাহসই পাচ্ছেন না। |
দাম না পেয়ে ফরিদপুরের সালথায় জাতীয় ফল কাঁঠাল এখন গো খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এবছর উপজেলার সব জায়গায় কাঁঠালের বাম্পার ফলন হলেও বাজারে এর দাম নেই। যেকারনে কাঁঠাল নিয়ে বাজারে এসে বিক্রেতারা অনেকেই বিপাকে পড়ছেন। আবার কেউ কেউ বাজারে এসে কাঁঠালের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে বাজারেই কাঁঠাল ফেলে রেখে যাচ্ছেন। দাম না পেয়ে কাঠাল গো খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করছে এলাকার কৃষকরা।
বুধবার সকালে বড় সাইজের ২০টি কাঁঠাল নিয়ে সালথা বাজারে এসেছিলেন জাকির হোসেন মিয়া নামে এক কাঁঠাল বিক্রেতা। তিনি জানান, বাজারের মধ্যে প্রায় ২ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে একটি কাঁঠালও বিক্রি করতে পারেনি তিনি। দুপুরের দিকে এক ক্রেতা তার গরুকে খাওয়ানোর জন্য পাইকেরি দরে ১০টি কাঁঠাল মাত্র ১শ’ টাকায় দিয়ে কিনে নিয়ে যান। বাকি ১০টি কাঁঠাল বিক্রি করতে না পেরে বাজারের মধ্যে ফেলে রেখে চলে যায় জাকির। লেখাটি গল্পের মত হলেও কাঠালের বাস্তব চিত্র এটিই। উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের রঘুয়ারকান্দী গ্রামে এই কাঁঠাল বিক্রেতা জাকিরের বাড়ি। কাঁঠাল রেখে বাড়ি ফেরার পথে এই প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় জাকিরের। জাকির এসময় বলেন, যে সাইজের ১০টি কাঁঠাল গরুকে খাওয়ানোর জন্য মাত্র ১শ’ টাকায় বিক্রি করলাম গত বছর এই সাইজের ১০টি কাঁঠাল ৬ থেকে ৭শ’ টাকা বিক্রি করেছি। তিনি আরো বলেন, এবার আমার শতাধিক গাছে কাঁঠাল ধরেছে। প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫টি কাঁঠাল নিয়ে উপজেলার হাট-বাজারে যাই আমি। প্রথম দিকে দাম কিছুটা ভাল পেলেও বর্তমানের অবস্থা খুবই খারাপ। চিন্তা করছি গাছে যে কাঁঠালগুলো আছে তা আর বিক্রি করবো না, সব কাঁঠাল গরুকে খাওয়াবো। শুধু জাকির মিয়াই নয় উপজেলার সব কাঁঠাল বিক্রেতাই একই ভাবে কাঁঠাল নিয়ে বিপাকে আছেন বলেও জানান জাকির। #
নিউজ টুডে ফরিদপুর, ২৪ জুন, ২০১৫।
No comments:
Post a Comment