বাংলাদেশ সমাজ কল্যান পরিষদের অর্থায়নে রোগী কল্যান সমিতির মাধ্যমে দীর্ঘ দিন ধরে দুস্থ ও দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসায় সহায়তা করে আসছে সমাজ সেবা অধিদপ্তর। সমাজ কল্যান মন্ত্রনালয়ের ওয়েব সাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশন ও জেলায় ৯০টি সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতাল এবং ৩৪২ টি উপজেলায় এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
চরভদ্রাসন উপজেলা সমাজ সেবা দপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে ২০১৪ সালের এগার ডিসেম্বর গৌর চন্দ্র নামের এক রোগীকে ৩০০০ টাকা সহায়তার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে চরভদ্রাসনে শুরু হয় রোগী কল্যান সমিতির কার্যক্রম। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এ তিন বছরে সেবা পেয়েছে মাত্র চল্লিশ জন রোগী।
তিন বছরে মোট সহায়তা দেওয়া হয়েছে ৮৭ হাজার ৯’শ ২২ টাকা। তহবিলে অলস পরে আছে দুই লক্ষ সাতাত্তর হাজার আটাত্তর টাকা।
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজ কল্যান অফিসার আকরাম হোসেন বলেন হাসপাতালে রোগী কল্যান সমিতির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একজন কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও লোকবলের অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না। প্রচারের কাজটি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা করে থাকেন।
প্রসঙ্গত রোগী কল্যান সমিতির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এগার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি রয়েছে। উক্ত কমিটির সভাপতি উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: আবুল কালাম আজাদ বলেন “সাধারনত দরিদ্র দেখেই আমরা সহায়তা করে থাকি তবে বিষয়টি আরও প্রচার হওয়ার প্রয়োজন, আমরা অন্তত এই সেবা সম্পর্কিত লিফলেট হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের দেয়ালে টাঙাগানোর ব্যাবস্থা করবো।”
শুক্রবার সকালে চরভদ্রাসন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা এম পি ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা কৃষক হালিম প্রামানিক(৭০) এ সুবিধা সম্পর্কে জানেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন “দু মাস ধইরা রোগে ভুগতেছি কত কষ্টে ওষুদের টাকা জুগাই তা আল্লাহই জানেন। চিকিৎসার জন্য সরকার যে টাকা দেয় তা আইজই জানলাম”।
এই বিষয়টি নিয়ে জোর প্রচার প্রচারনা চালানোর তাগিদ স্থানীয় সুশীল সমাজের। #
No comments:
Post a Comment