সালথা প্রতিনিধি
ফরিদপুরের সালথায় কওমি মাদ্রসার ছাত্র, শিক্ষক, সমর্থকদের সাথে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও আটরশি-চন্দ্রপাড়া দরবারের ভক্ত মুরিদানদের সংঘর্ষ হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলা সদর সালথা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়। এসময় উপজেলা যুবদল সভাপতির বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে ওয়াজ মাহফিলে আটরশি ও চন্দ্রপাড়া দরবার নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করায় এই সংঘর্ষের সূত্র পাত হয়। বুধবার সকালে বিরুপ মন্তব্য করা ওই আলেমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং আটরশি-চন্দ্রপাড়ার মুরিদানরা।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের পরুরা গলিয়া-পাড়া মসজিদের বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে ইসলামী বক্তব্য দেয়ার সময় মাওলানা লিয়াকত আলী আটরশি ও চন্দ্রপাড়া দরবার শরিফ নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করে। এরপর মাওলানা লিয়াকত আলীর উপর ক্ষিপ্ত হয় উভয় দরবার শরিফের মুরিদানরা। ওয়াজ মাহফিল শেষে মাওলানা লিয়াকত বাড়ি ফেরার পথে সালথা বাজার এলাকায় তার উপর হামলা করে ক্ষিপ্ত ঐসব মুরিদানরা। এখবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় কয়েকটি কওমি মাদ্রাসার কয়েক শত ছাত্র সমর্থক চন্দ্রা-পাড়ার একটি খানকা ঘরে হামলা করার চেষ্টা করে। এসময় তারা উপজেলা যুবলীগের সাংঠনিক সম্পাদক বাদল হোসেনের বাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থক ও কয়েকটি দরবার শরিফের মুরিদানরা এক হয়ে মাদ্রাসার সমর্থকদের ধাওয়া করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায় মাদ্রাসার ছাত্র-সমর্থকরা পিছু হটে। এতে মাদ্রাসা পক্ষের অন্তত ১০ জন সমর্থক আহত হয়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এঘটনার কিছুক্ষন পর উপজেলা যুবদলের সভাপতি শাহিন মাতুব্বরের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় কে বা কারা। আগুনে বড় ধরনের কোন ক্ষতি না হলেও তার রান্না ঘর সম্পূর্ন পুড়ে গেছে।
খবর পেয়ে সালথা, নগরকান্দা, ভাঙ্গা ও ফরিদপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে যৌথভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সালথা থানার এসআই ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
অন্যদিকে বুধবার সকালে মাওলানা লিয়াকতের বিরুদ্ধে উপজেলার কাউলীকান্দা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও আটরশি-চন্দ্রপাড়ারসহ কয়েকটি দরবার শরিফের মুরিদানরা। উপজেলা জাকের পার্টির সাধারন সম্পাদক সরোয়ার হোসেন বাচ্চুর সভাপতিত্বে উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা জাকের পার্টির সভাপতি ছবুর মাতুব্বর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ফারুকুজ্জামান ফকির মিয়া, যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন গিয়াস, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান লেবু মোল্যা, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি খায়রুজ্জামান বাবু, সহ-সভাপতি শওকত হোসেন মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল হোসেন, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ মাতুব্বর, উপজেলা ছত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম জুয়েল, আ’লীগ নেতা নায়েজ হোসেন প্রমুখ। সভা শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিল উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। এঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। #
ফরিদপুর, ১৮ মার্চ, ২০১৫।
ফরিদপুরের সালথায় কওমি মাদ্রসার ছাত্র, শিক্ষক, সমর্থকদের সাথে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও আটরশি-চন্দ্রপাড়া দরবারের ভক্ত মুরিদানদের সংঘর্ষ হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলা সদর সালথা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়। এসময় উপজেলা যুবদল সভাপতির বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে ওয়াজ মাহফিলে আটরশি ও চন্দ্রপাড়া দরবার নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করায় এই সংঘর্ষের সূত্র পাত হয়। বুধবার সকালে বিরুপ মন্তব্য করা ওই আলেমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং আটরশি-চন্দ্রপাড়ার মুরিদানরা।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের পরুরা গলিয়া-পাড়া মসজিদের বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে ইসলামী বক্তব্য দেয়ার সময় মাওলানা লিয়াকত আলী আটরশি ও চন্দ্রপাড়া দরবার শরিফ নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করে। এরপর মাওলানা লিয়াকত আলীর উপর ক্ষিপ্ত হয় উভয় দরবার শরিফের মুরিদানরা। ওয়াজ মাহফিল শেষে মাওলানা লিয়াকত বাড়ি ফেরার পথে সালথা বাজার এলাকায় তার উপর হামলা করে ক্ষিপ্ত ঐসব মুরিদানরা। এখবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় কয়েকটি কওমি মাদ্রাসার কয়েক শত ছাত্র সমর্থক চন্দ্রা-পাড়ার একটি খানকা ঘরে হামলা করার চেষ্টা করে। এসময় তারা উপজেলা যুবলীগের সাংঠনিক সম্পাদক বাদল হোসেনের বাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থক ও কয়েকটি দরবার শরিফের মুরিদানরা এক হয়ে মাদ্রাসার সমর্থকদের ধাওয়া করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায় মাদ্রাসার ছাত্র-সমর্থকরা পিছু হটে। এতে মাদ্রাসা পক্ষের অন্তত ১০ জন সমর্থক আহত হয়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এঘটনার কিছুক্ষন পর উপজেলা যুবদলের সভাপতি শাহিন মাতুব্বরের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় কে বা কারা। আগুনে বড় ধরনের কোন ক্ষতি না হলেও তার রান্না ঘর সম্পূর্ন পুড়ে গেছে।
খবর পেয়ে সালথা, নগরকান্দা, ভাঙ্গা ও ফরিদপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে যৌথভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সালথা থানার এসআই ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
অন্যদিকে বুধবার সকালে মাওলানা লিয়াকতের বিরুদ্ধে উপজেলার কাউলীকান্দা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও আটরশি-চন্দ্রপাড়ারসহ কয়েকটি দরবার শরিফের মুরিদানরা। উপজেলা জাকের পার্টির সাধারন সম্পাদক সরোয়ার হোসেন বাচ্চুর সভাপতিত্বে উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা জাকের পার্টির সভাপতি ছবুর মাতুব্বর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ফারুকুজ্জামান ফকির মিয়া, যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন গিয়াস, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান লেবু মোল্যা, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি খায়রুজ্জামান বাবু, সহ-সভাপতি শওকত হোসেন মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল হোসেন, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ মাতুব্বর, উপজেলা ছত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম জুয়েল, আ’লীগ নেতা নায়েজ হোসেন প্রমুখ। সভা শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিল উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। এঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। #
ফরিদপুর, ১৮ মার্চ, ২০১৫।
No comments:
Post a Comment