গতকাল সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাংচুড় করা হয়। |
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের দাড়িয়াকান্দী গ্রামে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আবুল হোসেন (২০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। আবুল দাড়িয়াকান্দী গ্রামের মালেক শেখের ছেলে। গতকালের সংঘর্ষের পরে আহত অবস্থায় এই যুবককে প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এছাড়াও এখনো এঘটনায় আহত আরো অন্তত ২০ জন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নগরকান্দা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি রয়েছেন। এদিকে আবুলের মৃত্যু খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত কিছু লোক প্রতিপক্ষ গ্রুপের কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করার চেষ্টা করে। কিন্তু এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকায় নতুন করে কোন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে নাই বলে জানা গেছে।
নিহত যুবক আবুল। |
প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেলে মোবাইল ফোনের মেমোরিকার্ড কেনা বেচা নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওয়াদুদ মাতুব্বারের সমর্থক দাড়িয়াকান্দি গ্রামের ছিদ্দিক সর্দারের ছেলে টুকু সর্দারের সাথে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুদ্দীন মেম্বারের সমর্থক পাচু মিয়ার ছেলে লাল মিয়ার কথাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই সুত্র ধরে মঙ্গলবার সকাল থেকেই দুই গ্রুপের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র ঢাল-কাতরা, সড়কি-ভেলা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে চলে সংঘর্ষ। খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশ ও ফরিদপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এসময় অন্তত ৩০ জন আহত হন। আহতের নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পলেক্সে ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালীন প্রতিপক্ষের হামলায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ টি বাড়িতে ভাংচুড় হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১২ জনকে আটক করে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে ২১ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ।
নিউজ টুডে ফরিদপুর, ৩০ সেপ্টেম্বর।
No comments:
Post a Comment