নুরুল ইসলাম নাহিদ, সালথা প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের সালথায় মোটরসাইকেল চালক রুহুল আমিন (২২) হত্যা মামলার দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের জন্যই চালক রুহুলকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন মামলার প্রধান আসামী।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জিল্লুর রহমান জানান, মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে গত শুক্রবার গভীর রাতে ফরিদপুর সদর উপজেলার ধুলদী এলাকা থেকে রুহুল হত্যা মামলার প্রধান আসামী ইবাদত মুন্সীকে (২৫) গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মামলা অপর আসামী রোবায়েত হোসেনকে (২৩) শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার ইউসুফদিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ইবাদত পার্শ্ববর্তী নগরকান্দা উপজেলার ঈশ্বরদী গ্রামের সাহেব আলী মুন্সী ছেলে ও রোবায়েত সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের ইউসুফদিয়া গ্রামের শাহজাহান চৌধুরীর ছেলে। প্রধান আসামী ইবাদতকে গত শনিবার ফরিদপুর ৩নং আমলী আদালতে হাজির করা হলে তিনি এই হত্যাকা-ে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট মো. ফয়সাল আল মামুনের নিকট ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধী দেয়। বর্তমানে ইবাদত জেলহাজতে রয়েছে। অপর আসামী রোবায়েতকে ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে গত রবিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা আরো জানান. আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রুহুল ও হত্যাকারীরা পূর্ব পরিচিত। রুহুল দীর্ঘদিন এলাকায় মোটরসাইকেল ভাড়ায় চালাতো। পূর্ব থেকেই ওই মোটরসাইকেলটি ছিনতাইয়ের পায়তারা করে তারা। একপর্যায় ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর বিকালে হত্যাকারীরা প্রথমে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রুহুলকে তার (টিভিএস) মোটরসাইকেলসহ বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। পরে রুহুলকে নিয়ে ঐদিন রাত ৯টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্নস্থানে ঘুরে বেড়ায় হত্যাকারীরা। ঘুরাফেরা শেষে রাত ১০ টার দিকে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের গুচ্ছ গ্রামের পশ্চিম পাশে মেহেগুনির বাগানের মধ্যে ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করে রুহুলকে হত্যা করে। এরপর তার লাশ গোপন করা জন্য মাঝারদিয়া মাঠে ইয়াদ আলীর পুকুর পাড়ে কচুরী দিয়ে ঢেকে রেখে মোটরসাইকেলটি নিয়ে যায় হত্যাকারীরা।
উল্লেখ্য, নিখোঁজের ৪ দিন পর ৩১ ডিসেম্বার সকালে মাঝারদিয়া মাঠের ইয়াদ আলীর পুকুর পাড় থেকে রুহুলের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রুহুল উপজেলার রামকান্তুপুর ইউনিয়নের খলিশাডুবি গ্রামের বাসিন্দা। এঘটনায় রুহুলের বাবা আক্কাছ মোল্যা বাদী হয়ে ৩১ ডিসেম্বার রাতে সালথা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারী গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুলখানা গ্রামের একটি বাড়ি থেকে রুহুলের মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। এসময় বাড়ির মালিক ইউনুস আলীকে (৫০) গ্রেফতার করে পুলিশ।
নিউজটুডে ফরিদপুর।
ফরিদপুরের সালথায় মোটরসাইকেল চালক রুহুল আমিন (২২) হত্যা মামলার দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের জন্যই চালক রুহুলকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন মামলার প্রধান আসামী।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জিল্লুর রহমান জানান, মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে গত শুক্রবার গভীর রাতে ফরিদপুর সদর উপজেলার ধুলদী এলাকা থেকে রুহুল হত্যা মামলার প্রধান আসামী ইবাদত মুন্সীকে (২৫) গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মামলা অপর আসামী রোবায়েত হোসেনকে (২৩) শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার ইউসুফদিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ইবাদত পার্শ্ববর্তী নগরকান্দা উপজেলার ঈশ্বরদী গ্রামের সাহেব আলী মুন্সী ছেলে ও রোবায়েত সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের ইউসুফদিয়া গ্রামের শাহজাহান চৌধুরীর ছেলে। প্রধান আসামী ইবাদতকে গত শনিবার ফরিদপুর ৩নং আমলী আদালতে হাজির করা হলে তিনি এই হত্যাকা-ে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট মো. ফয়সাল আল মামুনের নিকট ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধী দেয়। বর্তমানে ইবাদত জেলহাজতে রয়েছে। অপর আসামী রোবায়েতকে ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে গত রবিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা আরো জানান. আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রুহুল ও হত্যাকারীরা পূর্ব পরিচিত। রুহুল দীর্ঘদিন এলাকায় মোটরসাইকেল ভাড়ায় চালাতো। পূর্ব থেকেই ওই মোটরসাইকেলটি ছিনতাইয়ের পায়তারা করে তারা। একপর্যায় ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর বিকালে হত্যাকারীরা প্রথমে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রুহুলকে তার (টিভিএস) মোটরসাইকেলসহ বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। পরে রুহুলকে নিয়ে ঐদিন রাত ৯টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্নস্থানে ঘুরে বেড়ায় হত্যাকারীরা। ঘুরাফেরা শেষে রাত ১০ টার দিকে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের গুচ্ছ গ্রামের পশ্চিম পাশে মেহেগুনির বাগানের মধ্যে ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করে রুহুলকে হত্যা করে। এরপর তার লাশ গোপন করা জন্য মাঝারদিয়া মাঠে ইয়াদ আলীর পুকুর পাড়ে কচুরী দিয়ে ঢেকে রেখে মোটরসাইকেলটি নিয়ে যায় হত্যাকারীরা।
উল্লেখ্য, নিখোঁজের ৪ দিন পর ৩১ ডিসেম্বার সকালে মাঝারদিয়া মাঠের ইয়াদ আলীর পুকুর পাড় থেকে রুহুলের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রুহুল উপজেলার রামকান্তুপুর ইউনিয়নের খলিশাডুবি গ্রামের বাসিন্দা। এঘটনায় রুহুলের বাবা আক্কাছ মোল্যা বাদী হয়ে ৩১ ডিসেম্বার রাতে সালথা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারী গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুলখানা গ্রামের একটি বাড়ি থেকে রুহুলের মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। এসময় বাড়ির মালিক ইউনুস আলীকে (৫০) গ্রেফতার করে পুলিশ।
নিউজটুডে ফরিদপুর।
No comments:
Post a Comment