ফরিদপুরের সালথায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে এক পক্ষের ১৬টি বসতঘরে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। গত রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সোনাপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাফর মোল্যার সাথে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি খায়রুজ্জামান বাবুর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো। এ বিরোধের জের ধরে গত রবিবার বিকালে জাফরের সমর্থক মিল্টন শিকদারকে বাবুর সমর্থকরা মারধর করে। এনিয়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় বাবুর সমর্থকরা পিছু হটলে তাদের ১৬টি বসতঘরে ভাংচুর ও ঘরে থাকা নগত টাকাসহ মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।সংঘর্ষের ঘটনায় কাজলী খাতন (৮০) নামে এক বৃদ্ধ নারীসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে মিল্টন শিকদার ও রোকমান শেখ ফরিদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
সালথা থানা’র অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ডি এম বেলায়েত হোসেন বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে এ সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিয়ন্ত্রনে আনে। #
নিউজ টুডে ফরিদপুর, ৬ জুলাই, ২০১৫।
No comments:
Post a Comment