সাব্বির হাসান.সদরপুর প্রতিনিধি
আম বাগান করে এবার ব্যাপক সফলতা পাওয়ার পাশাপাশি ভাগ্য বদলাতে সক্ষম হয়েছেন ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার চন্দ্রপাড়া গ্রামের আজিজুল হক আকন নামের একজন আদর্শ কৃষক। ২০০৬ সালের ৮ একর জমির উপর বিভিন্ন প্রজাতির আম গাছ রোপন করেন তিনি। তার রোপন করা আমের জাতের মধ্যে অন্যতম আ¤্রপালি, নেংড়া, গোপালভোগ, হিমসাগর, আশ্বিনা, মল্লিকা, বারমাসী ইত্যাদি। এবছর ফলন ভাল হওয়াতে ইতিমধ্যেই তিনি ২লক্ষাধিক টাকার আম বিক্রি করেছেন। জানা গেছে,আজিজুল হক আকন উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে বেসরকারি সংস্থা প্রগতি ইন্সসুরেন্স লিঃ ফরিদপুর শাখার একটি বীমা অফিসে চাকরী নেন। ছোট বেলা থেকে বিভিন্ন ফলজ ও বনজ বৃক্ষ রোপনের প্রতি আগ্রহ ছিল তার। সে আগ্রহ কাজে লাগিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে চাকুরীর পাশাপাশি দুই/একটি করে বিভিন্ন প্রজাতের ফলজ বৃক্ষের চারা লাগাতে শুরু করেন। শখ থেকে তিনি বাড়তি উর্পাজনের আশায় একটি ফলের বাগানের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৬ সালে ফরিদপুরের এক কৃষিকর্মকর্তার সহায়তায় ১৫০ টি আম্রপলি ও ৯৫ টি নারিকেলীকুলের চারা নিয়ে তার স্বপ্নের বাগান যাত্রা শুরু করেন । সৃচনালগ্নে মাত্র ৫০ হাজার টাকা পুঁজি বিনিয়োগ করেন। প্রথম বছর আম বাগানের পরিচর্যা করে খরচ ২০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় বছর তেমন খরচ করতে হয়নি। এ বছর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রায় ২লক্ষাধিক টাকার আম বিক্রি করেছেন। আজিজুলের এমন সফলতায় সদরপুর চাষীদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সাফল্য দেখে এলাকার অন্য চাষীরা ফলের বাগানের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছে। ২০০৮ সালে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ফলচাষী হিসেবে পুরস্কারও অর্জন করেছেন তিনি। আম গাছের পাশাপাশি কলা, পেয়ারা, কাঁঠাল, লিচু, নারিকেল, পেপেসহ নানা ধরনের সুস্বাদ্ধ ফলের বাগানও করেছেন তিনি যা থেকে তিনি বছরে লক্ষাধীক টাকা আয় করে থাকেন। আলাপকালে আজিজুল বলেন, চাকুরিতে তার সংসারে স্বচ্ছলতা আসছিল না। তাই তিনি দেশীয় ফলজ বৃক্ষের বাগান শুরু করেন। বর্তমানে স্ত্রীসহ ১ছেলে চার কন্যা সন্তান কে নিয়ে তিনি ভাল আছেন বলে জানান এই প্রতিবেদককে। তিনি কৃষকদের বাগান করার আহবান জানিয়ে বলেন, এতে আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়া যায়, আবার পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও ভূমিকা রাখা যায়। #
নিউজ টুডে ফরিদপুর, ৬ জুলাই, ২০১৫।
আম বাগান করে এবার ব্যাপক সফলতা পাওয়ার পাশাপাশি ভাগ্য বদলাতে সক্ষম হয়েছেন ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার চন্দ্রপাড়া গ্রামের আজিজুল হক আকন নামের একজন আদর্শ কৃষক। ২০০৬ সালের ৮ একর জমির উপর বিভিন্ন প্রজাতির আম গাছ রোপন করেন তিনি। তার রোপন করা আমের জাতের মধ্যে অন্যতম আ¤্রপালি, নেংড়া, গোপালভোগ, হিমসাগর, আশ্বিনা, মল্লিকা, বারমাসী ইত্যাদি। এবছর ফলন ভাল হওয়াতে ইতিমধ্যেই তিনি ২লক্ষাধিক টাকার আম বিক্রি করেছেন। জানা গেছে,আজিজুল হক আকন উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে বেসরকারি সংস্থা প্রগতি ইন্সসুরেন্স লিঃ ফরিদপুর শাখার একটি বীমা অফিসে চাকরী নেন। ছোট বেলা থেকে বিভিন্ন ফলজ ও বনজ বৃক্ষ রোপনের প্রতি আগ্রহ ছিল তার। সে আগ্রহ কাজে লাগিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে চাকুরীর পাশাপাশি দুই/একটি করে বিভিন্ন প্রজাতের ফলজ বৃক্ষের চারা লাগাতে শুরু করেন। শখ থেকে তিনি বাড়তি উর্পাজনের আশায় একটি ফলের বাগানের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৬ সালে ফরিদপুরের এক কৃষিকর্মকর্তার সহায়তায় ১৫০ টি আম্রপলি ও ৯৫ টি নারিকেলীকুলের চারা নিয়ে তার স্বপ্নের বাগান যাত্রা শুরু করেন । সৃচনালগ্নে মাত্র ৫০ হাজার টাকা পুঁজি বিনিয়োগ করেন। প্রথম বছর আম বাগানের পরিচর্যা করে খরচ ২০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় বছর তেমন খরচ করতে হয়নি। এ বছর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রায় ২লক্ষাধিক টাকার আম বিক্রি করেছেন। আজিজুলের এমন সফলতায় সদরপুর চাষীদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সাফল্য দেখে এলাকার অন্য চাষীরা ফলের বাগানের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছে। ২০০৮ সালে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ফলচাষী হিসেবে পুরস্কারও অর্জন করেছেন তিনি। আম গাছের পাশাপাশি কলা, পেয়ারা, কাঁঠাল, লিচু, নারিকেল, পেপেসহ নানা ধরনের সুস্বাদ্ধ ফলের বাগানও করেছেন তিনি যা থেকে তিনি বছরে লক্ষাধীক টাকা আয় করে থাকেন। আলাপকালে আজিজুল বলেন, চাকুরিতে তার সংসারে স্বচ্ছলতা আসছিল না। তাই তিনি দেশীয় ফলজ বৃক্ষের বাগান শুরু করেন। বর্তমানে স্ত্রীসহ ১ছেলে চার কন্যা সন্তান কে নিয়ে তিনি ভাল আছেন বলে জানান এই প্রতিবেদককে। তিনি কৃষকদের বাগান করার আহবান জানিয়ে বলেন, এতে আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়া যায়, আবার পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও ভূমিকা রাখা যায়। #
নিউজ টুডে ফরিদপুর, ৬ জুলাই, ২০১৫।
No comments:
Post a Comment