ফরিদপুরে বিএনপির মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ,সাংবাদিকসহ আহত অন্তত ৩০(ভিডিও) - NEWS TODAY FARIDPUR

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, February 20, 2018

ফরিদপুরে বিএনপির মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ,সাংবাদিকসহ আহত অন্তত ৩০(ভিডিও)

নিউজটুডেফরিদপুরঃ
ফরিদপুরে বিএনপি’র মিছিলে পুলিশের বেধড়ক পিটুনি ও ফাকা গুলিতে সাংবাদিকসহ অন্তত  ত্রিশ জন আহত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর শহরের সুপার মার্কেট চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এসময় পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে পুলিশের পিটুনির শিকার হয়ে গুরতর আহত হন দুই সাংবাদিক। সাংবাদিকদের উপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আজ জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। সকালে থেকেই বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে মিছিল নিয়ে সুপার মার্কেট চত্বরে আসতে থাকে নেতাকর্মীরা।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার এসআই নাসিরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মিছিলে বাধা দিতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশ ব্যানার কেড়ে নেয়। পুলিশ কয়েক দফায় নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা  ও সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়। বেলা সোয়া ১১টার  দিকে বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয়  সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ রিংকু সেখানে পৌঁছালে পুলিশ বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
এস আই নাসির, হারুন, আবুল ও কনস্টেবল নাহিদুলের নেতৃত্বে পুলিশ এলোপাথাড়ি লাঠিপেটা শুরু করলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েলসহ নেতারা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
পরে নেতাকর্মীরা সংগঠিত হয়ে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুঁড়লে পুলিশ ৫/৭ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
এই সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে বাংলা ভিশনের জেলা প্রতিনিধি নির্মলেন্দু চক্রবর্তী শংকার, নয়া দিগন্তের জেলা প্রতিনিধি হারুন আনসারী রুদ্র মারাত্বক ভাবে আহত হন। শংকর প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেও হারুন আনসারীকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথায় ও হাতে আঘাত রয়েছে।
এ সময় পুলিশ জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোদাররেছ আলী ইছা ও যুগ্ম সম্পাদক, জুলফিকার হোসেন জুয়েল, কোতয়ালী বিএনপি’র সভাপতি রউফুন নবীসহ কমপক্ষে ২০ নেতাকমীকে আটক করে।
এই ঘটনায় বিএনপি নেত্রী শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু ঘটনার পরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে তাৎক্ষণিক এক প্রেসব্রিফিং করে পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, পুলিশের এ নগ্ন হামলার জড়িতদের বিচারের দাবি জানান।
ফরিদপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা, ঘটনার সত্যতা ও বিএনপি নেতাকর্মী আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনা অনাকাঙ্কিত বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং আগামীতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সে দিকটাও নিশ্চিত করবে পুলিশ।
এদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে সাংবাদিকদের উপর পুলিশের হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুর ১ টায় জরুরী সভা অনুষ্টিত হয়েছে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে। সভায় এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। এবং বিষয়টি পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়ে দোষীদের শাস্তির দাবী জানানো হয়। #

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Pages