বোরহানুজ্জামান, নগরকান্দা থেকেঃ
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় এলজিএসপি-২ প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ইউপি চেয়ারম্যানগণ ও ইউপি সচিব এলজিএসপি প্রকল্পের টাকা অত্যান্ত সু-কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে বলে স্থানীয় এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে। ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এলজিএসপি-২ এর আওতায় বিবিজির ১ম পর্যায়ে ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮১৪ টাকা বরাদ্দ আসে। ইউপি চেয়ারম্যান জিন্নাহ সরদার ও ইউপি সচিব ভবেশ বিশ্বাস বরাদ্দকৃত টাকা ৭টি প্রকল্প তৈরি করে। এ প্রকল্পগুলোতে নাম মাত্র কাজ করে অর্থ আতœসাত করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ইউপি সদস্য জানান চেয়ারম্যান নিজেকে দায়মুক্ত রাখতে সচিব ভবেশ বিশ্বাসকে দিয়ে এসমস্ত অনিয়ম করাচ্ছেন ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পোড়াদিয়া বাজারে ১টি পাবলিক টয়লেট নির্মানের জন্য এক লাখ টাকা বরাদ্দ থাকলেও একই টয়লেট নির্মানে এডিপির ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেখানো হয়েছে , এছাড়াও একই টয়লেট নির্মানে বাজারের ব্যাবসায়ীদের নিকট থেকে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। আরেক প্রকল্প জিয়াখুলী রাস্তা হতে ফুল মিয়ার বাড়ী পর্যন্ত মাটির রাস্তা নির্মাণে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও সেখানে কোন কাজ না করে পুরোটাই আত্মসাত করে। দক্ষিন কাইচাইল বেরীবাধ হতে কাজী বাড়ি পর্যন্ত মাটির রাস্তা নির্মানের জন্য ১ লাখ টাকা বরাদ্দ ধরা হলেও সেখানে সম্প্রতি কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে। ঝাটুরদিয়া নতুন বাজার হইতে মাসুদ মোল্যার বাড়ী রাস্তা নির্মান প্রকল্পে একই অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়। এছাড়া অন্যান্য প্রকল্পের একই অবস্থা দেখা গেছে। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান জিন্নাহ সরদার বলেন, পরিষদের সকল কাজ আমি দেখাশোনা করি। এলজিএসপির অধিকাংশ কাজ ভাল ভাবে সম্পুন্র্ করা হয়েছে, যেগুলো বাকি আছে সেগুলো পরে করে দেয়া হবে। তবে তিনি তার ইউনিয়নের যেকোন প্রকল্পের কর্মকান্ডে সাংবাদিকদেরকে না যাওয়ার জন্য হুমকী প্রদান করে। এব্যাপারে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল আজিজ বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। #
নিউজ টুডে ফরিদপুর, ২৭ জুন, ২০১৫।
No comments:
Post a Comment